প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
উপরে যাবার সিঁড়ি,
তারি নীচে দক্ষিণের বারান্দায়
নীলমণি মাস্টারের কাছে
সকালে পড়তে হত ইংলিশ রীডার।
ভাঙা পাঁচিলের কাছে ছিল মস্ত তেঁতুলের গাছ।
ফল পাকবার বেলা।
ডালে ডালে ঝপাঝপ বাঁদরের হ'ত লাফালাফি।
ইংরেজি বানান ছেড়ে দুই চক্ষু ছুটে যেত
লেজ-দোলা বাঁদরের দিকে।
সেই উপলক্ষে —
আমার বুদ্ধির সঙ্গে রাঙামুখো বাঁদরের
নির্ভেদ নির্ণয় করে
মাস্টার দিতেন কানমলা।
ছুটি হলে পরে
শুরু হত আমার মাস্টারি
উদ্ভিদ্-মহলে।
ফলসা চালতা ছিল, ছিল সার-বাঁধা
সুপুরির গাছ।
অনাহূত জন্মেছিল কী করে কুলের এক চারা
বাড়ির গা ঘেঁষে;
সেটাই আমার ছাত্র ছিল।
ছড়ি দিয়ে মারতেম তাকে।
বলতেম, ‘দেখ্ দেখি বোকা,
উঁচু ফলসার গাছে ফল ধরে গেল —
কোথাকার বেঁটে কুল উন্নতির উৎসাহই নেই। '
শুনেছি বাবার মুখে যত উপদেশ
তার মধ্যে বার বার ‘উন্নতি' কথাটা শোনা যেত।
ভাঙা বোতলের ঝুড়ি বেচে