৩৭

দূর হতে কী শুনিস মৃত্যুর গর্জন, ওরে দীন,

              ওরে উদাসীন—

          ওই ক্রন্দনের কলরোল,

     লক্ষ বক্ষ হতে মুক্ত রক্তের কল্লোল।

           বহ্নিবন্যা-তরঙ্গের বেগ,

          বিষশ্বাস-ঝটিকার মেঘ,

              ভূতল গগন

     মূর্ছিত বিহ্বল-করা মরণে মরণে আলিঙ্গন ;

          ওরই মাঝে পথ চিরে চিরে

              নূতন সমুদ্রতীরে

          তরী নিয়ে দিতে হবে পাড়ি,

              ডাকিছে কাণ্ডারী

               এসেছে আদেশ—

    বন্দরে বন্ধনকাল এবারের মতো হল শেষ,

পুরানো সঞ্চয় নিয়ে ফিরে ফিরে শুধু বেচাকেনা

              আর চলিবে না।

  বঞ্চনা বাড়িয়া ওঠে, ফুরায় সত্যের যত পুঁজি,

          কাণ্ডারী ডাকিছে তাই বুঝি—

          “ তুফানের মাঝখানে

          নূতন সমুদ্রতীর - পানে

              দিতে হবে পাড়ি। ”

              তাড়াতাড়ি

          তাই ঘর ছাড়ি

চারি দিক হতে ওই দাঁড়-হাতে ছুটে আসে দাঁড়ী।

 

          “ নূতন উষার স্বর্ণদ্বার

     খুলিতে বিলম্ব কত আর। ”

          এ কথা শুধায় সবে

            ভীত আর্তরবে

     ঘুম হতে অকস্মাৎ জেগে ।

          ঝড়ের পুঞ্জিত মেঘে