ঝড়
     অন্ধ কেবিন আলোয় আঁধার গোলা,       
       বন্ধ বাতাস কিসের গন্ধে ঘোলা।
  মুখ ধোবার ওই ব্যাপারখানা দাঁড়িয়ে আছে সোজা,
            ক্লান্ত চোখের বোঝা।
            দুলছে কাপড় pegএ
       বিজলি-পাখার হাওয়ার ঝাপট লেগে।
            গায়ে গায়ে ঘেঁষে
        জিনিসপত্র আছে কায়ক্লেশে।
            বিছানাটা কৃপণ-গতিকের
       অনিচ্ছাতে ক্ষণকালের সহায় পথিকের।
            ঘরে আছে যে-কটা আসবাব
       নিত্য যতই দেখি, ভাবি ওদের মুখের ভাব
            নারাজ ভৃত্যসম—
            পাশেই থাকে মম,
       কোনোমতে করে কেবল কাজ-চলা-গোছ সেবা।
এমন ঘরে আঠারো দিন থাকতে পারে কেবা।
       কষ্ট ব’লে একটা দানব ছোট্টো খাঁচায় পুরে
            নিয়ে চলে আমায় কত দূরে।
       নীল আকাশে নীল সাগরে অসীম আছে বসে,
            কী জানি কোন্‌ দোষে
          ঠেলেঠুলে চেপেচুপে মোরে
    সেখান হতে করেছে একঘরে।

 

       হেনকালে ক্ষুদ্র দুখের ক্ষুদ্র ফাটল বেয়ে
            কেমন করে এল হঠাৎ ধেয়ে
বিশ্বধরার বক্ষ হতে বিপুল দুখের প্রবল বন্যাধারা।
       এক নিমেষে আমারে সে করলে আত্মহারা,
            আনলে আপন বৃহৎ সান্ত্বনারে,
আনলে আপন গর্জনেতে ইন্দ্রলোকের অভয়-ঘোষণারে।
            মহাদেবের তপের জটা হতে