মানসী
      কেন তুমি মূর্তি হয়ে এলে,
           রহিলে না ধ্যান-ধারণার।
সেই মায়া-উপবন           কোথা হল অদর্শন,
      কেন হায় ঝাঁপ দিতে শুকালো পাথার।

 

      স্বপ্নরাজ্য ছিল ও হৃদয়—
            প্রবেশিয়া দেখিনু সেখানে
এই দিবা এই নিশা           এই ক্ষুধা এই তৃষা,
      প্রাণপাখি কাঁদে এই বাসনার টানে।

 

      আমি চাই তোমারে যেমন
           তুমি চাও তেমনি আমারে—
কৃতার্থ হইব আশে       গেলেম তোমার পাশে,
      তুমি এসে বসে আছ আমার দুয়ারে।

 

সৌন্দর্যসম্পদ-মাঝে বসি
            কে জানিত কাঁদিছে বাসনা।
ভিক্ষা ভিক্ষা সব ঠাঁই—     তবে আর কোথা যাই
      ভিখারিনী হল যদি কমল-আসনা।

 

      তাই আর পারি না সঁপিতে
          সমস্ত এ বাহির অন্তর।
এ জগতে তোমা ছাড়া      ছিল না তোমার বাড়া,
      তোমারে ছেড়েও আজ আছে চরাচর।

 

      কখনো বা চাঁদের আলোতে
           কখনো বসন্তসমীরণে
সেই ত্রিভুবনজয়ী             অপাররহস্যময়ী
      আনন্দমুরতিখানি জেগে ওঠে মনে।

 

      কাছে যাই তেমনি হাসিয়া
         নবীন যৌবনময় প্রাণে—