শ্রাবণের পত্র
বন্ধু হে,
পরিপূর্ণ
বরষায়
আছি তব ভরসায়,
কাজকর্ম করো সায়, এস চট্পট্!
শাম্লা আঁটিয়া
নিত্য
তুমি কর ডেপুটিত্ব
একা প’ড়ে মোর চিত্ত করে ছট্ফট্।
যখন যা সাজে
ভাই
তখন করিবে তাই—
কালাকাল মানা নাই কলির বিচার!
শ্রাবণে
ডেপুটিপনা
এ তো কভু নয় সনা-
তন প্রথা, এ যে অনা-সৃষ্টি অনাচার।
ছুটি লয়ে
কোনোমতে
পোট্মাণ্টো তুলি রথে
সেজেগুজে রেলপথে করো অভিসার।
লয়ে দাড়ি লয়ে
হাসি
অবতীর্ণ হও আসি,
রুধিয়া জানালা শাসি বসি একবার।
বজ্ররবে
সচকিত্
কাঁপিবে গৃহের ভিত,
পথে শুনি কদাচিৎ চক্র খড়্খড়্।
হা রে রে
ইংরাজ-রাজ,
এ সাধে হানিলি বাজ—
শুধু কাজ, শুধু কাজ, শুধু ধড়্ফড়্।
আম্লা-শাম্লা-স্রোতে
ভাসাইলি এ ভারতে,
যেন নেই ত্রিজগতে হাসি গল্প গান—
নেই বাঁশি, নেই
বঁধু,
নেই রে যৌবনমধু,
মুচেছে পথিকবধূ সজল নয়ান।
যেন রে শরম
টুটে
কদম্ব আর না ফুটে,
কেতকী শিহরি উঠে করে না আকুল—
কেবল
জগৎটাকে
জড়ায়ে সহস্র পাকে
গবর্মেণ্ট পড়ে থাকে বিরাট বিপুল।
বিষম রাক্ষস
ওটা,
মেলিয়া আপিস-কোটা
গ্রাস করে গোটা গোটা বন্ধুবান্ধবেরে—
বৃহৎ বিদেশে
দেশে
কে কোথা তলায় শেষে
কোথাকার সর্বনেশে সর্বিসের ফেরে।
এ দিকে বাদর
ভরা,
নবীন শ্যামল ধরা,