মানসী
নিশিদিন জল-ঝরা সঘন গগন।
এ দিকে ঘরের
কোণে
বিরহিণী বাতায়নে,
দিগন্তে তমালবনে নয়ন মগন।
হেঁট মুণ্ড করি
হেঁট
মিছে কর agitate,
খালি রেখে খালি পেট ভরিছ কাগজ।
এ দিকে যে গোরা
মিলে
কালা বন্ধু লুটে নিলে,
তার বেলা কী করিলে নাই কোনো খোঁজ।
দেখিছ না আঁখি
খুলে
ম্যাঞ্চেস্ট্র লিভারপুলে
দেশী শিল্প জলে গুলে করিল Finish।
‘আষাঢ়ে গল্প’ সে
কই,
সেও বুঝি গেল ওই
আমাদের নিতান্তই দেশের জিনিস।
তুমি আছ কোথা
গিয়া,
আমি আছি শূন্যহিয়া,
কোথায় বা সে তাকিয়া শোকতাপহরা।
সে তাকিয়া—
গল্পগীতি
সাহিত্যচর্চার স্মৃতি
কত হাসি কত প্রীতি কত তুলো -ভরা!
কোথায় সে
যদুপতি,
কোথা মথুরার গতি,
অথ, চিন্তা করি ইতি কুরু মনস্থির—
মায়াময় এ
জগৎ
নহে সৎ নহে সৎ,
যেন পদ্মপত্রবৎ, তদুপরি নীর।
অতএব ত্বরা
ক’রে
উত্তর লিখিবে মোরে,
সর্বদা নিকটে ঘোরে কাল সে করাল—
( সুধী তুমি ত্যজি
নীর
গ্রহণ করিয়ো ক্ষীর )
এই তত্ত্ব এ চিঠির জানিয়ো moral।