চিত্রা

সেই শিখা হতে রূপ নির্মল

    বাহিরি আসিবে বুঝি!

সব জটিলতা হইবে সরল

    তোমারে পাইব খুঁজি।

 

 

ছাড়ি কৌতুক নিত্যনূতন

    ওগো কৌতুকময়ী,

জীবনের শেষে কী নূতন বেশে

    দেখা দিবে মোরে অয়ি!

চিরদিবসের মর্মের ব্যথা,

শত জনমের চিরসফলতা,

আমার প্রেয়সী, আমার দেবতা,

    আমার বিশ্বরূপী,

মরণনিশায় উষা বিকাশিয়া

শ্রান্তজনের শিয়রে আসিয়া

মধুর অধরে করুণ হাসিয়া

    দাঁড়াবে কি চুপিচুপি?

ললাট আমার চুম্বন করি

নব চেতনায় দিবে প্রাণ ভরি,

নয়ন মেলিয়া উঠিব শিহরি,

    জানি না চিনিব কি না —

শূন্য গগন নীলনির্মল,

নাহি রবিশশী গ্রহমণ্ডল,

না বহে পবন, নাই কোলাহল,

    বাজিছে নীরব বীণা —

অচল আলোকে রয়েছ দাঁড়ায়ে,

কিরণবসন অঙ্গ জড়ায়ে

চরণের তলে পড়িছে গড়ায়ে

    ছড়ায়ে বিবিধ ভঙ্গে।

গন্ধ তোমার ঘিরে চারি ধার,

উড়িছে আকুল কুন্তলভার,