ছন্দের মাত্রা
চিন্তা করেও তাঁর এই মতের তাৎপর্য বুঝতে পারি নি। একাদিক্রমে মাত্রাগণনা গণিতশাস্ত্রের সবচেয়ে সহজ কাজ, তাতেও যদি তিনি বাধা দেন তাহলে বুঝতে হবে, তাঁর মতে গণনার বাইরে আরো কিছু গণ্য করবার আছে। হয়তো মোট মাত্রার ভাগগুলো নিয়ে তর্ক। ভাগ সকল ছন্দেই আছে। দশ মাত্রার ছন্দ, যথা–
প্রাণে মোর আছে তার বাণী,
তার বেশি তার নাহি জানি।
এর সহজ ভাগ এই–
একে অন্য রকমেও ভাগ করা চলে। যথা–
অথবা ‘প্রাণে’ শব্দটাকে একটু আড় করে রেখে–
এই তিনটেই দশ মাত্রার ছন্দের ভিন্ন ভিন্ন রূপ। তাহলেই দেখা যাচ্ছে, ছন্দকে চিনতে হলে প্রথম দেখা চাই, তার পদের মোট মাত্রা, তারপরে তার কলাসংখ্যা, তারপরে প্রত্যেক কলার মাত্রা।
১ |
২ |
সকল বেলা | |
কাটিয়া গেল, | |
এই ছন্দের প্রত্যেক পদে সতেরো মাত্রা। এর চার কলা। অন্ত্য কলাটিতে দুই ও অন্য তিনটি কলায় পাঁচ পাঁচ মাত্রা। এই সতেরো মাত্রা বজায় রেখে অন্যজাতীয় ছন্দ রচনা চলে কলাবৈচিত্র্যের দ্বারা। যথা–
১
২
৩
মন চায় | চলে আসে | কাছে,
|
৪
৫
তবুও পা
| চলে না।
বলিবার | কত কথা | আছে,
|
তবু কথা | বলে না।
এ ছন্দে পদের মাত্রা ১৭, কলার সংখ্যা ৫, তার মাত্রাসংখ্যা যথাক্রমে– ৪+৪+২+৪+৩। আঠারো মাত্রার দীর্ঘপয়ারে প্রথম আট