মালিনী
সোমাচার্য। দূর করে
দাও সুপ্রিয়েরে। বিপ্রগণ, করো ওরে
সভার বাহির।
চারুদত্ত। মোরা নির্বাসন চাহি
রাজকুমারীর। যার অভিমত নাহি
যাক সে বাহিরে।
ক্ষেমংকর। ক্ষান্ত হও বন্ধুগণ।
সুপ্রিয়। ভ্রমক্রমে আমারে করেছ নির্বাচন
ব্রাহ্মণমণ্ডলী। আমি নহি এক জন
তোমাদের ছায়া। প্রতিধ্বনি নহি আমি
শাস্ত্রবচনের। যে শাস্ত্রের অনুগামী
এ ব্রাহ্মণ, সে শাস্ত্রে কোথাও লেখে নাই
শক্তি যার ধর্ম তার।
ক্ষেমংকরের প্রতি
চলিলাম ভাই,
আমারে বিদায় দাও।
ক্ষেমংকর। দিব না বিদায়।
তর্কে শুধু দ্বিধা তব, কাজের বেলায়
দৃঢ় তুমি পর্বতের মতো। বন্ধু মোর,
জান না কি আসিয়াছে দুঃসময় ঘোর—
আজ মৌন থাকো।
সুপ্রিয়। বন্ধু, জন্মেছে ধিক্কার।
মূঢ়তার দুর্বিনয় নাহি সহে আর।
যাগযজ্ঞ ক্রিয়াকর্ম ব্রত-উপবাস
এই শুধু ধর্ম বলে করিবে বিশ্বাস
নিঃসংশয়ে? বালিকারে দিয়া নির্বাসনে
সেই ধর্ম রক্ষা হবে? ভেবে দেখো মনে
মিথ্যারে সে সত্য বলি করে নি প্রচার ;
সেও বলে সত্য ধর্ম, দয়া ধর্ম তার,
সর্বজীবে প্রেম— সর্বধর্মে সেই সার,