মালিনী
বিশ্বে দেয় প্রাণ।
মহিষী। মহারাজ তাই বলি,
খুঁজে দেখো কোথা আছে মায়ার শিকলি
যাহে বাঁধা পড়ে যায় আলোকপ্রতিমা।
কন্যার প্রতি
মুখে খুলে পড়ে কেশ, এ কী বেশ! ছি মা!
আপনারে এত অনাদর! আয় দেখি,
ভালো করে বেঁধে দিই। লোকে বলিবে কী
দেখে তোরে? নির্বাসন! এই যদি হয়
ধর্ম ব্রাহ্মণের, তবে হোক, মা, উদয়
নবধর্ম— শিখে নিক তোরি কাছ হতে
বিপ্রগণ। দেখি মুখ, আয় মা, আলোতে।
[ মহিষী ও মালিনীর প্রস্থান
সেনাপতির প্রবেশ
সেনাপতি। মহারাজ, বিদ্রোহী হয়েছে প্রজাগণ
ব্রাহ্মণবচনে। তারা চায় নির্বাসন
রাজকুমারীর।
রাজা। যাও তবে সেনাপতি,
সামন্তনৃপতি সবে আনো দ্রুতগতি।
[ রাজা ও সেনাপতির প্রস্থান
দ্বিতীয় দৃশ্য
মন্দিরপ্রাঙ্গণে ব্রাহ্মণগণ
ব্রাহ্মণগণ। নির্বাসন, নির্বাসন, রাজদুহিতার
নির্বাসন!
ক্ষেমংকর। বিপ্রগণ, এই কথা সার।
এ সংকল্প দৃঢ় রেখো মনে। জেনো ভাই,
অন্য অরি নাহি ডরি, নারীরে ডরাই।
তার কাছে অস্ত্র যায় টুটে, পরাহত
তর্কযুক্তি, বাহুবল করে শির নত—