ফাল্গুনী

বল কী। তা হলে যে আমের বোলগুলো ধরতে ধরতেই আঁটি হয়ে যাবে। আর কোকিলগুলো পেঁচা হয়ে সব লক্ষ্মীর খোঁজে বেরবে।

চন্দ্রহাস। আর ভ্রমরগুলো অনুস্বার বিসর্গের চোটে বাতাসটাকে ঘুলিয়ে দিয়ে মন্তর জপতে থাকবে।

সর্দার। আর তোদের খুলিটা সুবুদ্ধিতে এমনই বোঝাই হবে যে এক পা নড়তে পারবি নে।

সর্বনাশ!

সর্দার। আর ঐ ঝুমকো-লতায় যেমন গাঁঠে গাঁঠে ফুল ধরেছে তেমনই তোদের গাঁঠে গাঁঠে বাত ধরবে।

সর্বনাশ!

সর্দার। আর তোরা সবাই নিজের দাদা হয়ে নিজের কান মলতে থাকবি।

সর্বনাশ!

সর্দার। আর —

আর কাজ কী সর্দার। থাক্‌ বুড়োধরা খেলা। ওটা বরঞ্চ শীতের দিনেই হবে। এবার তোমাকে নিয়েই —

সর্দার। তোদের দেখছি আগে থাকতেই বুড়োর ছোঁয়াচ লেগেছে।

কেন, কী লক্ষণটা দেখলে।

সর্দার। উৎসাহ নেই? গোড়াতেই পেছিয়ে গেলি? দেখ্‌ই-না কী হয়।

আচ্ছা বেশ। রাজি।

চল্‌ রে, সব চল্‌।

বুড়োর খোঁজে চল্‌।

যেখানে পাই তাকে পাকা চুলটার মতো পট্‌ করে উপড়ে আনব।

শুনেছি উপড়ে আনার কাজে তারই হাত পাকা। নিড়ুনি তার প্রধান অস্ত্র।

ভয়ের কথা রাখ্‌। খেলতেই যখন বেরলুম তখন ভয়, চৌপদী, পণ্ডিত, পুঁথি এ-সব ফেলে যেতে হবে।

 

গান

আমাদের    ভয় কাহারে।

বুড়ো বুড়ো চোর ডাকাতে

কী আমাদের করতে পারে।

আমাদের    রাস্তা সোজা, নাইকো গলি,

নাইকো ঝুলি, নাইকো থলি,

ওরা    আর যা কাড়ে কাড়ুক, মোদের

পাগ্‌লামি কেউ কাড়বে না রে।

আমরা    চাই নে আরাম, চাই নে বিরাম,

চাই নে যে ফল, চাই নে রে নাম,

মোরা    ওঠায় পড়ায় সমান নাচি,