ফাল্গুনী

বাকিটা প্রাণের কথা।

সে কী রকম।

যৌবনের দল একটা বুড়োর পিছনে ছুটে চলেছে। তাকে ধরবে বলে পণ। গুহার মধ্যে ঢুকে যখন ধরলে তখন —

তখন কী দেখলে।

কী দেখলে সেটা যথাসময়ে প্রকাশ হবে।

কিন্তু একটা কথা বুঝতে পারলুম না। তোমার গানের বিষয় আর তোমার নাট্যের বিষয়টা আলাদা নাকি।

না মহারাজ, বিশ্বের মধ্যে বসন্তের যে লীলা চলছে আমাদের প্রাণের মধ্যে যৌবনের সেই একই লীলা। বিশ্বকবির সেই গীতিকাব্য থেকেই তো ভাব চুরি করেছি।

তোমার নাটকের প্রধান পাত্র কে কে।

এক হচ্ছে সর্দার।

সে কে।

যে আমাদের কেবলই চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আর-একজন হচ্ছে চন্দ্রহাস।

সে কে।

যাকে আমরা ভালোবাসি — আমাদের প্রাণকে সে-ই প্রিয় করেছে।

আর কে আছে।

দাদা — প্রাণের আনন্দটাকে যে অনাবশ্যক বোধ করে, কাজটাকেই যে সার মনে করেছে।

আর কেউ আছে?

আর আছে এক অন্ধ বাউল।

অন্ধ?

হাঁ মহারাজ, চোখ দিয়ে দেখে না বলেই সে তার দেহ মন প্রাণ সমস্ত দিয়ে দেখে।

তোমার নাটকের প্রধান পাত্রদের মধ্যে আর কে আছে।

আপনি আছেন।

আমি!

হাঁ মহারাজ, আপনি যদি এর ভিতরে না থেকে বাইরেই থাকেন তা হলে কবিকে গাল দিয়ে বিদায় ক'রে ফের শ্রুতিভূষণকে নিয়ে বৈরাগ্যবারিধির চৌপদী ব্যাখ্যায় মন দেবেন। তা হলে মহারাজের আর মুক্তির আশা নেই। স্বয়ং বিশ্বকবি হার মানবেন — ফাল্গুনের দক্ষিণ হাওয়া দক্ষিণা না পেয়েই বিদায় হবে।