শ্যামলী

                          এনেছিলেন চায়ের টেবিলে।

              সব সুযোগই ব্যর্থ করেছে বারে বারে

                      তাঁর একগুঁয়ে মেয়ে।

             কপাল চাপড়ে হাল ছেড়েছেন যখন তিনি

                   এমন সময় পারিবারিক দিগন্তে

             হঠাৎ দেখা দিল কক্ষছাড়া পাগলা জ্যোতিষ্ক—

       মাধপাড়ার রায়বাহাদুরের একমাত্র ছেলে মহীভূষণ।

          রায়বাহাদুর জমা টাকা আর জমাট বুদ্ধিতে

                        দেশবিখ্যাত।

 

       তাঁর ছেলেকে কোনো পিতা পারে না হেলা করতে

                   যতই সে হোক লাগাম - ছেঁড়া।

       আট বছর য়ুরোপে কাটিয়ে মহীভূষণ ফিরেছেন দেশে।

               বাবা বললেন, “ বিষয়কর্ম দেখো। ”

                           ছেলে বললে, “ কী হবে। ”

         লোকে বললে, ওর বুদ্ধির কাঁচা ফলে ঠোকর দিয়েছে

                    রাশিয়ার লক্ষ্মী - খেদানো বাদুড়টা।

                        অমিয়ার বাবা বললেন, “ ভয় নেই,

      নরম হয়ে এল বলে দেশের ভিজে হাওয়ায়। ”

                দু দিনে অমিয়া হল তার চেলা।

                         যখন - তখন আসত মহীভূষণ,

      আশপাশের হাসাহাসি কানাকানি গায়ে লাগত না কিছুই।

 

                       দিনের পর দিন যায়।

              অধীর হয়ে অমিয়ার বাবা তুললেন বিয়ের কথা।

                          মহী বললে, “ কী হবে। ”

              বাবা রেগে বললেন, “ তবে তুমি আস কেন রোজ। ”

                        অনায়াসে বললে মহীভূষণ,

                   “ অমিয়াকে নিয়ে যেতে চাই যেখানে ওর কাজ। ”

 

                    অমিয়ার শেষ কথা এই,

                                “ এসেছি তাঁরই কাজে।