শ্যামলী

            দিঘির নামেই লোচনদিঘি তার নাম।

                 সেখানে ভুলে - যাওয়া তারিখের

                          ঝাপসা - অক্ষর - পটওআলা

                                ভাঙা দেবালয়।

                 পূর্বখ্যাতির কোনো সাক্ষী রাখে নি,

                       আছে সে অশ্বত্থের পাঁজর - ভাঙা

                             আলিঙ্গনে জড়িয়ে - পড়া।

                      পাড়ির উপরে বুড়ো বটের তলায়

                            একটি নূতন আটচালা ঘর,

                      সেইখানে গ্রামের বালিকাবিদ্যালয়।

 

 

দেখলুম অমিয়াকে

      ছাই রঙের মোটা শাড়ি পরা,

            দুই হাতে দুইগাছি শাঁখা,

                 পায়ে নেই জুতো,

          ঢিলে খোঁপা অযত্নে পড়েছে ঝুলে।

              পাড়াগাঁয়ের শ্যামল রঙ লেগেছে মুখে।

                           ছোটো ঝারি হাতে পাঠশালার বাগানে

                            জল দিচ্ছে সবজি - খেতে।

                    ভেবে পেলেম না কী বলি।

                        তারও মুখে এল না

                     প্রথম - দেখার কোনো সম্ভাষণ,

                             কোনো প্রশ্ন।

 

                  চোখের আড়ে

      আমার দামি জুতোজোড়াটার দিকে তাকিয়ে

                 বললে অনায়াসে,

              “ বেশি বর্ষায় আগাছায় চাপা পড়েছে

                       বিলিতি বেগুনের চারা ;

                             এসো - না, নিড়িয়ে দেবে। ”