ছড়া

সকল ভাঁড়েই চিনির পানার

             জয়ধ্বনি রটিয়ে দেয়,

চিনির বলদ জোড়ে এসে

             সকল মিটিং-কমিটি,

চোখের জলেই নোন্‌তা হবে

             বাংলাদেশের জমিটি।

নোনার স্থানে থাকবে নোনা,

             মিঠের স্থানে মিষ্টি —

সাহিত্যে বা পাকশালাতে

             এরেই বলে কৃষ্টি।

চিনি সে তো বার-মহলের,

             রক্তে বসত নোন্‌তার —

দোকানে প্রাণ মিষ্টি খোঁজে,

             নুন যে আপন ধন তার।

সাগরবাসের আদিম উৎস

             চোখের জলে খুলিয়ে দেয়,

নির্বাসনের দুঃখটা তার

             আখের খেতে ভুলিয়ে দেয়।

অতএব এই —

কী পাগলামি,

             কলম উঠল খেপে,

মিথ্যে বকা দৌড় দিয়েছে

             মিলের স্কন্ধে চেপে।

কবির মাথা ঘুলিয়ে গেছে

             বৈশাখের এই রোদে,

চোখের সামনে দেখছে কেবল

             মাছের ডিমের বোঁদে।

ঠাণ্ডা মাথায় ঘুচুক এবার

             রসের অনাবৃষ্টি,

উলটোপালটা না হয় যেন

             নোন্‌তা এবং মিষ্টি।