প্রহাসিনী

ঘন ঘন হাই তুলে গা-মোড়া,

ঘস্‌ঘস্‌ চুলকোনো চামোড়া।

আ-কামানো মুখ ভরা খোঁচাতে —

বাসি ধুতি, পিঠ ঢাকা কোঁচাতে

চোখ দুটো রাঙা যেন টোমাটো,

আলুথালু চুলে নাই পোমাটো।

বাসি মুখে চা খাচ্ছ বাটিতে,

গড়িয়ে পড়ছে ঘাম মাটিতে।

কাঁকড়ার চচ্চড়ি রাত্রে,

এঁটো তারি পড়ে আছে পাত্রে।

‘সিনেমার তালিকার কাগজে

কে সরাল ছবি’ ব’লে রাগো যে।

 

যত দেরি হতেছিল ততই যে

এই ছবি মনে এল স্বতই যে।

ভোরে ওঠা ভদ্র সে নীতিটা,

অতিশয় খুঁতখুঁতে রীতিটা।

সাফ্‌সোফ বুর্জোয়া অঙ্গেই

ধব্‌ধবে চাদরের সঙ্গেই

মিল তার জানি অতিমাত্র —

তুমি তো নও সে সৎ-পাত্র।

আজকাল বিড়িটানা শহুরে

যে চাল ধরেছে আটপহুরে,

মাসিকেতে একদিন কে জানে

অধুনাতনের মন-ভেজানে

মানে-হীন কোনো এক কাব্য

নাম করি দিবে অশ্রাব্য।


মিলের কাব্য

নারীকে আর পুরুষকে যেই মিলিয়ে দিলেন বিধি

পদ্য কাব্যে মানবজীবন পেল মিলের নিধি।