পরিণয় মঙ্গল

তোমাদের বিয়ে হল ফাগুনের চৌঠা,

অক্ষয় হয়ে থাক্‌ সিঁদুরের কৌটা।

      সাত চড়ে তবু যেন কথা মুখে না ফোটে,

      নাসিকার ডগা ছেড়ে ঘোমটাও না ওঠে ;

শাশুড়ি না বলে যেন ‘ কী বেহায়া বৌটা '।

 

‘ পাক প্রণালী ' র মতে কোরো তুমি রন্ধন,

জেনো ইহা প্রণয়ের সব-সেরা বন্ধন।

      চামড়ার মতো যেন না দেখায় লুচিটা,

      স্বরচিত ব ' লে দাবি নাহি করে মুচিটা ;

পাতে বসে পতি যেন নাহি করে ক্রন্দন।

 

যা-ই কেন বলুক-না প্রতিবেশী নিন্দুক

খুব ক’ষে আঁটা যেন থাকে তব সিন্দুক।

      বন্ধুরা ধার চায়, দাম চায় দোকানি,

      চাকর-বাকর চায় মাসহারা-চোকানি —

ত্রিভুবনে এই আছে অতি বড়ো তিন দুখ।

 

বই-কেনা শখটারে দিয়ো নাকো প্রশ্রয় ;

ধার নিয়ে ফিরিয়ো না, তাতে নাহি দোষ রয়।

      বোঝ আর না-ই বোঝ কাছে রেখো গীতাটি,

      মাঝে মাঝে উলটিয়ো মনুসংহিতাটি ;

‘ স্ত্রী স্বামীর ছায়াসম ' মনে যেন হোঁশ রয়।

 

যদি কোনো শুভদিনে ভর্তা না ভর্ৎসে,

বেশি ব্যয় হয় পড়ে পাকা রুই মৎস্যে,

      কালিয়ার সৌরভে প্রাণ যবে উতলায়,

      ভোজনে দুজনে শুধু বসিবে কি দু ' তলায়।

লোভী এ কবির নাম মনে রেখো, বৎসে।

 

দ্রুত উন্নতিবেগে স্বামীর অদৃষ্ট