ঢাকিরা ঢাক বাজায় খালে বিলে

                          পাকুড়তলির মাঠে

                   বামুনমারা দিঘির ঘাটে

                আদিবিশ্ব-ঠাকুরমায়ের আস্‌মানি এক চেলা

                          ঠিক দুক্ষুর বেলা

                       বেগ্‌নি-সোনা দিক্‌-আঙিনার কোণে

                   ব 'সে ব 'সে ভুঁইজোড়া এক চাটাই বোনে

                          হলদে রঙের শুকনো ঘাসে।

               সেখান থেকে ঝাপসা স্মৃতির কানে আসে

                   ঘুম-লাগা রোদ্‌দুরে

                       ঝিম্‌ঝিমিনি সুরে —

                   ‘ ঢাকিরা ঢাক বাজায় খালে বিলে,

               সুন্দরীকে বিয়ে দিলেম ডাকাতদলের মেলে। ”

 

                   সুদূর কালের দারুণ ছড়াটিকে

               স্পষ্ট করে দেখি নে আজ, ছবিটা তার ফিকে।

                   মনের মধ্যে বেঁধে না তার ছুরি,

               সময় তাহার ব্যথার মূল্য সব করেছে চুরি।

                   বিয়ের পথে ডাকাত এসে হরণ করলে মেয়ে,

               এই বারতা ধুলোয়-পড়া শুকনো পাতার চেয়ে

                   উত্তাপহীন, ঝেঁটিয়ে-ফেলা আবর্জনার মতো।

                       দুঃসহ দিন দুঃখেতে বিক্ষত

                   এই-কটা তার শব্দমাত্র দৈবে রইল বাকি,

                       আগুন-নেভা ছাইয়ের মতন ফাঁকি।

                          সেই মরা দিন কোন্‌ খবরের টানে

                              পড়ল এসে সজীব বর্তমানে।

               তপ্ত হাওয়ার বাজপাখি আজ বারে বারে

                              ছোঁ মেরে যায় ছড়াটারে,

               এলোমেলো ভাবনাগুলোর ফাঁকে ফাঁকে

                   টুক্‌রো করে ওড়ায় ধ্বনিটাকে।

               জাগা মনের কোন্‌ কুয়াশা স্বপ্নেতে যায় ব্যেপে,