প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
কেঁদে ফিরে আসে।
নিশীথের কারাগারে কে বেঁধে রেখেছে মোরে
রয়েছি পড়িয়া —
কেবল রয়েছি বেঁচে স্বপন কুড়ায়ে লয়ে
ভাঙিয়া গড়িয়া।
আঁধারে নিজের পানে চেয়ে দেখি, ভালো করে
দেখিতে না পাই —
হৃদয়ে অজানা দেশে পাখি গায়, ফুল ফোটে,
পথ জানি নাই।
অন্ধকারে আপানারে দেখিতে না পাই যত
তত ভালোবাসি,
তত তারে বুকে করে বাহুতে বাঁধিয়া লয়ে
হরষেতে ভাসি।
তত যেন মনে হয় পাছে রে চলিতে পথে
তৃণ ফুটে পায়,
যতনের ধন পাছে চমকি কাঁদিয়া ওঠে
কুসুমের ঘায়!
সদা হয় অবিশ্বাস কারেও চিনি না হেথা,
সবি অনুমান,
ভালোবেসে কাছে গেলে দূরে চলে যায় সবে,
ভয়ে কাঁপে প্রাণ।
গোপনেতে অশ্রু ফেলে মুছে ফেলে, পাছে কেহ
দেখিবারে পায় —
মরমের দীর্ঘশ্বাস মরমে রুধিয়া রাখে,
পাছে শোনা যায়।
সখারে কাঁদিয়া বলে — “ বড়ো সাধ যায় সখা,
দেখি ভালো করে!
তুই শৈশবের বঁধু, চিরজন্ম কেটে গেল
দেখিনু না তোরে,
বুঝি তুমি দূরে আছ, একবার কাছে এসে
দেখাও তোমায়। ”
সে অমনি কেঁদে বলে — “ আপনারে দেখি নাই,