প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
নীরবে টুটিছে প্রাণ, চাহিছে তারার পানে
অরণ্যে পশিয়া।
কেহ বা রয়েছে শুয়ে দগ্ধ হৃদয়ের'পরে
স্মৃতিরে জড়ায়ে —
কেহ না দেখিছে তারে, অন্ধকারে অশ্রুধারা
পড়িছে গড়ায়ে।
কেহ বা শুনিছে সাড়া, উর্ধ্বকণ্ঠে নাম ধরে
ডাকিছে মরণে —
পশিয়া হৃদয়-মাঝে আশার অঙ্কুরগুলি
দলিছে চরণে।
ও দিকে আকাশ- ' পরে মাঝে মাঝে থেকে থেকে
উঠে অট্টহাস,
ঘন ঘন করতালি, উনমাদ কণ্ঠস্বরে
কাঁপিছে আকাশ।
জ্বালিয়া মশাল-আলো নাচিছে গাইছে তারা,
ক্ষণিক উল্লাস —
আঁধার মুহূর্ত-তরে হাসে যথা প্রাণপণে
আলেয়ার হাস।
অরণ্যের প্রান্তভাগে নদী এক চলিয়াছে
বাঁকিয়া বাঁকিয়া —
স্তব্ধ জল, শব্দ নাই, ফণী-সম ফুঁসি উঠে
থাকিয়া থাকিয়া।
আঁধারে চলিতে পান্থ দেখিতে না পায় কিছু
জলে গিয়া পড়ে,
মুহূর্তের হাহাকার মুহূর্তে ভাসিয়া যায়
খরস্রোতভরে।
সখা তার তীরে বসি একেলা কাঁদিতে থাকে,
ডাকে উর্ধ্বশ্বাসে —
কাহারো না পেয়ে সাড়া শূন্যপ্রাণ প্রতিধ্বনি