ঘুম
ঘুমিয়ে পড়েছে শিশুগুলি
,
খেলাধুলা সব গেছে
ভুলি।
ধীরে নিশীথের বায় আসে খোলা জানালায়,
ঘুম এনে দেয় আঁখিপাতে
,
শয্যায় পায়ের কাছে
খেলেনা ছড়ানো আছে,
ঘুমিয়েছে
খেলাতে-খেলাতে।
এলিয়ে গিয়েছে দেহ, মুখে দেবতার স্নেহ
পড়েছে রে ছায়ার মতন,
কালো কালো চুল তার বাতাসেতে বার বার
উড়ে উড়ে ঢাকিছে বদন।
তারার আলোর মতো হাসিগুলি আসে কত,
আধো-খোলা অধরেতে তার
চুমো খেয়ে যায় কত বার
।
সারা রাত স্নেহসুখে তারাগুলি চায় মুখে,
যেন তারা করে গলাগলি,
কত কী যে করে বলাবলি!
যেন তারা আঁচলেতে আঁধারে আলোতে গেঁথে
হাসিমাখা সুখের স্বপন
,
ধীরে ধীরে স্নেহভরে শিশুর প্রাণের'পরে
একে একে করে বরিষন।
কাল যবে রবিকরে কাননেতে থরে থরে
ফুটে ফুটে উঠিবে কুসুম
,
ওদেরো নয়নগুলি ফুটিয়া উঠিবে খুলি,
কোথায় মিলায়ে যাবে ঘুম
।
প্রভাতের আলো জাগি যেন খেলাবার লাগি
ওদের জাগায়ে দিতে চায়
,
আলোতে ছেলেতে ফুলে এক সাথে আঁখি খুলে
প্রভাতে পাখিতে গান
গায়।