প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
এখন আদেশ পেলে নিজভুজবলে
উপার্জন করি গিয়া রাজসৈন্যদলে।’
গোবিন্দ কহিলা তার পিঠে হাত রাখি,
‘ আছে তব পৌরুষের এক শিক্ষা বাকি।’
পরদিন বেলা গেলে গোবিন্দ একাকী
বাহিরিলা ; পাঠানেরে কহিলেন ডাকি,
‘ অস্ত্র হাতে এসো মোর সাথে।’ ভক্তদল
‘ সঙ্গে যাব’ ‘ সঙ্গে যাব’ করে কোলাহল —
গুরু কন, ‘ যাও সবে ফিরে।’
দুই জনে
কথা নাই ধীরগতি চলিলেন বনে
নদীতীরে। পাথর - ছড়ানো উপকূলে
বরষার জলধারা সহস্র আঙুলে
কেটে গেছে রক্তবর্ণ মাটি। সারি সারি
উঠেছে বিশাল শাল, তলায় তাহারি
ঠেলাঠেলি ভিড় করে শিশু তরুদল
আকাশের অংশ পেতে। নদী হাঁটুজল
ফটিকের মতো স্বচ্ছ, চলে এক ধারে
গেরুয়া বালির কিনারায়। নদীপারে
ইশারা করিল গুরু; পাঠান দাঁড়ালো।
নিবে - আসা দিবসের দগ্ধ রাঙা আলো
বাদুড়ের পাখা - সম দীর্ঘ ছায়া জুড়ি
পশ্চিমপ্রান্তর - পারে চলেছিল উড়ি
নিঃশব্দ আকাশে। গুরু কহিলা পাঠানে,
‘ মামুদ, হেথায় এসো, খোঁড়ো এইখানে।’
উঠিল সে বালু খুঁড়ি একখণ্ড শিলা
অঙ্কিত লোহিত রাগে। গোবিন্দ কহিলা,