মুর্খু

নেই বা হলেম যেমন তোমার

          অম্বিকে গোঁসাই।

আমি তো, মা, চাই নে হতে

          পণ্ডিতমশাই।

নাই যদি হই ভালো ছেলে,

কেবল যদি বেড়াই খেলে

তুঁতের ডালে খুঁজে বেড়াই

          গুটিপোকার গুটি,

মুর্খু হয়ে রইব তবে?

আমার তাতে কীই বা হবে,

মুর্খু যারা তাদেরই তো

          সমস্তখন ছুটি।

 

তারাই তো সব রাখাল ছেলে

          গোরু চরায় মাঠে।

নদীর ধারে বনে বনে

          তাদের বেলা কাটে।

ডিঙির ’পরে পাল তুলে দেয়,

ঢেউয়ের মুখে নাও খুলে দেয়,

ঝাউ কাটতে যায় চলে সব

          নদীপারের চরে।

তারাই মাঠে মাচা পেতে

পাখি তাড়ায় ফসল - খেতে,

বাঁকে করে দই নিয়ে যায়

          পাড়ার ঘরে ঘরে।

 

কাস্তে হাতে চুবড়ি মাথায়,

          সন্ধে হলে পরে

ফেরে গাঁয়ে কৃষাণ ছেলে,

          মন যে কেমন করে।