পলাতকা

                   চতুর্থ দিন প্রাতে

          খবর এল, ইরাবতীর সাগর-মোহানাতে

         ওদের জাহাজ ডুবে গেছে কিসের ধাক্কা খেয়ে।

                    আবার ভাগ্য নেয়ে

শৈলরে তার সঙ্গে নিয়ে কোন্‌ পারে হায় গেল নৌকো বেয়ে

          কেন এল কেনই গেল কেই বা তাহা জানে।

               নিমন্ত্রণটি রেখে গেল শুধু আমার প্রাণে।

           যাব যাব যাব, দিদি, অধিক দেরি নাই,

তিন-সত্যি আছে তোমার, সে-কথা কি ভুলতে পারি ভাই।

      আরো একটি চিহ্ন তাহার রেখে গেছে ঘরে

                   খবর পেলেম পরে।

                   গালিয়ে বুকের ব্যথা

          লিখে রাখি এইখানে সেই কথা —

 

দিনের পরে দিন চলে যায় ওদের বাড়ি যাই নে আমি আর।

               নিয়ে আপন একলা প্রাণের ভার

                       আপন মনে

                  থাকি আপন কোণে।

               হেনকালে একদা মোর ঘরে

          সন্ধ্যাবেলায় বাপ এল তার কিসের তরে।

               বললে, “ খুড়ো একটা কথা আছে,

                   বলি তোমার কাছে।

     শৈল যখন ছোটো ছিল, একদা মোর বাক্স খুলে দেখি

               হিসাব-লেখা খাতার ‘ পরে এ কী

হিজিবিজি কালির আঁচড়। মাথায় যেন পড়ল ক্রোধের বাজ।

               বোঝা গেল শৈলরই এ কাজ।

     মারা-ধরা গালিমন্দ কিছুতে তার হয় না কোনো ফল —

          হঠাৎ তখন মনে এল শাস্তির কৌশল।

                   মানা করে দিলেম তারে

               তোমার বাড়ি যাওয়া একেবারে।

     সবার চেয়ে কঠিন দন্ড! চুপ করে সে রইল বাক্যহীন

     বিদ্রোহিণী বিষম ক্রোধে। অবশেষে বারো দিনের দিন