চণ্ডালিকা
           আমার জীবনমৃত্যু-সীমানায় আসবে।
                নিবিড় রাত্রে এসে পৌঁছবে পান্থ,
           বুকের জ্বালা দিয়ে আমি  জ্বালিয়ে দিব দীপখানি–
                সে আসবে,  ও সে  আসবে॥ স্বরলিপি
                দুঃখ দিয়ে মেটাব দুঃখ তোমার।
                স্নান করাব অতল জলে বিপুল বেদনার।
                মোর সংসার দিব যে জ্বালি,
                শোধন হবে এ মোহের কালি–
                মরণব্যথা দিব তোমার চরণে উপহার॥ স্বরলিপি
           মা।  বাছা, মোর মন্ত্র আর তো বাকি নেই,
                       প্রাণ মোর এল কণ্ঠে॥ স্বরলিপি
        প্রকৃতি।  মা গো, এত দিনে মনে হচ্ছে যেন
                       টলেছে আসন তাঁহার।
                  ওই  আসছে, আসছে, আসছে।
                যা বহু দূরে, যা লক্ষ যোজন দূরে,
                       যা চন্দ্রসূর্য পেরিয়ে,
                    ওই  আসছে, আসছে, আসছে–
                       কাঁপছে আমার বক্ষ ভূমিকম্পে॥ স্বরলিপি
           মা।  বল্‌ দেখি, বাছা, কী তুই দেখছিস আয়নায়॥ স্বরলিপি
        প্রকৃতি।  ঘন কালো মেঘ তাঁর পিছনে,
                              চারি দিকে বিদ্যুৎ চমকে,
                অঙ্গ ঘিরে ঘিরে তাঁর অগ্নির আবেষ্টন–
                যেন শিবের ত্রোধানলদীপ্তি!
              তোর মন্ত্রবাণী ধরি কালিনাগিনীমূর্তি
                গর্জিছে বিষনিশ্বাসে,
                       কলুষিত করে তাঁর পুণ্যশিখা॥ স্বরলিপি


আনন্দের ছায়া-অভিনয়

    মা।  ওরে পাষাণী, কী নিষ্ঠুর মন তোর,
                   কী কঠিন প্রাণ –
                       এখনো তো আছিস বেঁচে॥ স্বরলিপি