নদী
কোথাও     ধু ধু করে বালুচর
সেথায়       গাঙশালিকের ঘর।
সেথায়       কাছিম বালির তলে
আপন       ডিম পেড়ে আসে চলে।
সেথায়       শীতকালে বুনো হাঁস
কত         ঝাঁকে ঝাঁকে করে বাস।
সেথায়      দলে দলে চখাচখী
করে        সারাদিন বকাবকি।
সেথায়      কাদাখোঁচা তীরে তীরে
কাদায়       খোঁচা দিয়ে দিয়ে ফিরে।
 
কোথাও    ধানের খেতের ধারে
ঘন         কলাবন বাঁশঝাঁড়ে
ঘন         আম - কাঁঠালের বনে
গ্রাম        দেখা যায় এক কোণে।
সেথা       আছে ধান গোলাভরা,
সেথা       খড়গুলা রাশ - করা।
সেথা       গোয়ালেতে গোরু বাঁধা
কত        কালো পাটকিলে সাদা।
কোথাও    কলুদের কুঁড়েখানি,
সেথায়      ক্যাঁ কোঁ ক’রে ঘোরে ঘানি।
কোথাও    কুমারের ঘরে চাক,
দেয়         সারাদিন ধরে পাক।
মুদি         দোকানেতে সারাখন  
বসে         পড়িতেছে রামায়ণ।
কোথাও     বসি পাঠশালা - ঘরে
যত         ছেলেরা চেঁচিয়ে পড়ে,
বড়ো        বেতখানি লয়ে কোলে
ঘুমে        গুরুমহাশয় ঢোলে।
হেথায়      এঁকে বেঁকে ভেঙে চুরে
গ্রামের      পথ গেছে বহু দূরে।
সেথায়      বোঝাই গোরুর গাড়ি