ক্ষণিকা

            ছিন্ন পালটি তুলে

     ভেসে যা রে স্বপ্ন - সমান

            অস্তাচলের কূলে।

     সেথায় সোনা - মেঘের ঘাটে        

            নামিয়ে দিয়ো শেষে

     বহুদিনের বোঝা তোমার

             চিরনিদ্রার দেশে।

 

            ওরে আমার তরী,

পারে যাবার উঠল হাওয়া, ছোট্‌ রে ত্বরা করি।

     যেদিন খেয়া ধরেছিলেম

            ছায়াবটের ধারে,

     ভোরের সুরে ডেকেছিলেম

            ‘ কে যাবি আয় পারে'।

     ভেবেছিলেম ঘাটে ঘাটে

            করতে আনাগোনা

     এমন চরণ পড়বে নায়ে

            নৌকো হবে সোনা।

     এতবারের পারাপারে,

            এত লোকের ভিড়ে,

     সোনা - করা দুটি চরণ

            দেয় নি পরশ কি রে?

     যদি চরণ পড়ে থাকে

            কোনো একটি বারে

     যা রে সোনার জন্ম নিয়ে

            সোনার মৃত্যু - পারে।