Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (https://rabindra-rachanabali.nltr.org)
ক্ষণিকা - যৌবনবিদায়, ২
ক্ষণিকা
ছিন্ন পালটি তুলে
ভেসে যা রে স্বপ্ন - সমান
অস্তাচলের কূলে।
সেথায় সোনা - মেঘের ঘাটে
নামিয়ে দিয়ো শেষে
বহুদিনের বোঝা তোমার
চিরনিদ্রার দেশে।
ওরে আমার তরী,
পারে যাবার উঠল হাওয়া, ছোট্ রে ত্বরা করি।
যেদিন খেয়া ধরেছিলেম
ছায়াবটের ধারে,
ভোরের সুরে ডেকেছিলেম
‘ কে যাবি আয় পারে'।
ভেবেছিলেম ঘাটে ঘাটে
করতে আনাগোনা
এমন চরণ পড়বে নায়ে
নৌকো হবে সোনা।
এতবারের পারাপারে,
এত লোকের ভিড়ে,
সোনা - করা দুটি চরণ
দেয় নি পরশ কি রে?
যদি চরণ পড়ে থাকে
কোনো একটি বারে
যা রে সোনার জন্ম নিয়ে
সোনার মৃত্যু - পারে।