পরিশিষ্ট

সেই সুতোর মাপে এর সংস্কৃত সংস্করণকে মাপা যাক–

 
  থা। হ। থা।
     
    পা খি। ত। ডা কে,  
 
নি জ। থা। কা ন। নে  
     
    ব। থা। ঢা কে।  

সুতোর মাপে সমান। কিন্তু, কান কি সেই মাপে আঙুল গুনে ছন্দের পরিচয় নেয়। ছন্দ যে ভঙ্গি নিয়ে, বস্তুর পরিমাপ নিয়ে নয়।

তোমার সঙ্গে আমার মিলন

বাধল কাছেই এসে।

তাকিয়ে ছিলেম আসন মেলে,

অনেক দূর যে পেরিয়ে এলে,

আঙিনাতে বাড়িয়ে চরণ

ফিরলে কঠিন হেসে।

তীরের হাওয়ায় তরী উধাও

পারের নিরুদ্দেশে।

এরই সংস্কৃত রূপান্তর দেওয়া যাক–

তোমা সনে মোর প্রেম

বাধে কাছে এসে।

চেয়েছিনু আঁখি মেলে,

বহুদূর হতে এলে,

আঙিনাতে পা বাড়িয়ে

ফিরে গেলে হেসে।

তীর-বায়ে তরী গেল

ওপারের দেশে।

মাপে মিলল, কিন্তু লয়ে মিলেছে কি। সমুদ্র যখন স্থির থাকে আর সমুদ্র যখন ঢেউ খেলিয়ে ওঠে তখন তার দৈর্ঘ্যপ্রস্থ সমান থাকে, কিন্তু তার ভঙ্গির বৈচিত্র্য ঘটে। এই ভঙ্গি নিয়েই ছন্দ। বিধাতা সেই ভঙ্গির দিকে তাকিয়েই মৃদঙ্গ বাজান, বোল বদলিয়ে দেন, তাই মনের মধ্যে ভিন্ন রকমের আঘাত লাগে।