ছন্দের মাত্রা

তবে মোর | রাঙা করবী

নিজ হাতে | নিয়ো তুলিয়া।

আর-একটা–

জলে ভরা | নয়নপাতে

বাজিতেছে | মেঘরাগিণী,

কী লাগিয়া | বিজনরাতে

উড়ে হিয়া, | হে বিবাগিনী।

ম্লানমুখে | মিলালো হাসি,

গলে দোলে | নবমালিকা।

ধরাতলে | কী ভুলে আসি

সুর ভোলে | সুরবালিকা।

তার পরে ৪ + ৪ + ১। বলে রাখা ভালো এই ছন্দটি পড়াবার সময় সবশেষ ধ্বনিটিকে বিচ্ছন্ন করতে হবে।–

বারে বারে | যায় চলি | য়া,

ভাসায় ন | য়ননীরে | সে,

বিরহের | ছলে ছলি | য়া

মিলনের | লাগি ফিরে | সে।

যায় নয়নের আড়া লে,

আসে হৃদয়ের মাঝে গো।

বাঁশিটিরে পায়ে মাড়া লে

বুকে তার সুর বাজে গো।

ফুলমালা গেল শুকা য়ে,

দীপ নিবে গেল বাতা সে,

মোর ব্যথাখানি লুকা য়ে

মনে তার রহে গাঁথা সে।

যাবার বেলায় দুয়া রে

তালা ভেঙে নেয় ছিনি য়ে,

ফিরিবার পথ উহা রে

ভাঙা দ্বার দেয় চিনি য়ে॥

৩ + ২ + ৪এর লয় পূর্বে দেখানো হয়েছে। ৫ + ৪এর লয় এখানে দেওয়া গেল।

আলো এল যে | দ্বারে তব,

ওগো মাধবী | বনছায়া।

দোঁহে মিলিয়া | নবনব