কাহিনী

কহিনু তাপসে, " পুণ্যচরিত,

পাতকিনীদের করিয়ো ক্ষমা।

আমারে ক্ষমিয়ো, আমারে ক্ষমিয়ো,

আমারে ক্ষমিয়ো করুণানিধি! "

হরিণীর মতো ছুটে চলে এনু

শরমের শর মর্মে বিঁধি।

কাঁদিয়া কহিনু কাতরকণ্ঠে —

" আমারে ক্ষমিয়ো পুণ্যরাশি! "

চপলভঙ্গে লুটায়ে রঙ্গে

পিশাচীরা পিছে উঠিল হাসি।


ফেলি দিল ফুল মাথায় আমার

তপোবনতরু করুণা মানি,

দূর হতে কানে বাজিতে লাগিল

বাঁশির মতন মধুর বাণী —

“ আনন্দময়ী মুরতি তোমার,

কোন্‌ দেব তুমি আনিলে দিবা!

অমৃতসরস তোমার পরশ,

তোমার নয়নে দিব্য বিভা। ”

দেবতারে তুমি দেখেছ, তোমার

সরল নয়ন করে নি ভুল।

দাও মোর মাথে, নিয়ে যাই সাথে

তোমার হাতের পূজার ফুল।

তোমার পূজার গন্ধ আমার

মনোমন্দির ভরিয়া রবে —

সেথায় দুয়ার রুধিনু এবার,

যতদিন বেঁচে রহিব ভবে।


মন্ত্রী, আবার সেই বাঁকা হাসি?

নাহয় দেবতা আমাতে নাই —

মাটি দিয়ে তবু গড়ে তো প্রতিমা,

সাধকেরা পূজা করে তো তাই।

একদিন তার পূজা হয়ে গেলে

চিরদিন তার বিসর্জন,