কাহিনী

ছোটোলোকদের এত কি ভাগ্যি!

প্রথমা।     তাই যদি হবে তবে অগণ্য

নোকর চাকর কিসের জন্য।

দ্বিতীয়া।     নিজের রাজ্যে রাখতে দৃষ্টি

রাজারানীদের হয় নি সৃষ্টি।

তারিণী।     প্রজারা বলছে, কর্মচারী

পীড়ন তাদের করছে ভারি।

নাই দয়া মায়া, নাইকো ধর্ম,

বেচে নিতে চায় গায়ের চর্ম।

বলে তারা, ‘ হায় কী করেছি পাপ,

এত ছোটো মোরা, এত বড়ো চাপ! '

ক্ষীরো।      সর্ষেও ছোটো তবু সে ভোগায়,

চাপ না পেলে কি তৈল জোগায়।

টাকা জিনিসটা নয় পাকা ফল,

টুপ করে খ'সে ভরে না আঁচল,

ছিঁড়ে নাড়া দিয়ে ঠেঙার বাড়িতে

তবে ও জিনিস হয় যে পাড়িতে।

তারিণী।      সেজন্যে না মা — তোমার খাজনা

বঞ্চনা করা তাদের কাজ না।

তারা বলে, যত আমলা তোমার

মাইনে না পেয়ে হয়েছে গোঁয়ার।

লুটপাট করে মারছে প্রজা,

মাইনে পেলেই থাকবে সোজা।

ক্ষীরো।      রানী বটি, তবু নইকো বোকা,

পারবে না দিতে মিথ্যে ধোঁকা।

করবেই তারা দস্যুবৃত্তি,

মাইনেটা দেওয়া মিথ্যেমিথ্যি।

প্রজাদের ঘরে ডাকাতি করে,

তা বলে করবে রানীরও ঘরে?

তারিণী।      তারা বলে রানী কল্যাণী যে

নিজের রাজ্য দেখেন নিজে।

নালিশ শোনেন নিজের কানেই,