কাহিনী

মালতী।     তবু যদি কারো চেতনা না হয়,

বন্দুক দিলে হবে নিশ্চয়।

প্রথমা।     ফাঁসি হল মাপ, বড়ো গেল বেঁচে,

জয় জয় ব'লে বাড়ি যাবে নেচে।

দ্বিতীয়া।     প্রসন্ন ছিল তাদের গ্রহ,

চাবুক ক'ঘা তো অনুগ্রহ।

তৃতীয়া।     বলিস কী ভাই, ফাঁড়া গেল কেটে —

আহা, এত দয়া রানীমার পেটে।

ক্ষীরো।      থাম তোরা, শুনে নিজ গুণগান

লজ্জায় রাঙা হয়ে ওঠে কান।

বিনি!

বিনি।              রানীমাসি!

ক্ষীরো।                  স্থির হয়ে রবি,

ছট্‌ফট্‌ করা বড়ো বে-আদবি।

মালতী!

মালতী।             আজ্ঞে।

ক্ষীরো।      মেয়েরা এখনো

শেখে নি আমিরি দস্তুর কোনো।

বিনির প্রতি

মালতী।     রানীর ঘরের ছেলেমেয়েদের

ছট্‌ফট্‌ করা ভারি নিন্দের।

ইতর লোকেরই ছেলেমেয়েগুলো

হেসেখুশে ছুটে করে খেলাধুলো।

রাজারানীদের পুত্রকন্যে

অধীর হয় না কিছুরই জন্যে!

হাত-পা সামলে খাড়া হয়ে থাকো,

রানীর সামনে নোড়ো-চোড়ো নাকো।

ক্ষীরো।      ফের গোলমাল করছে কাহারা।

দরজায় মোর নাই কি পাহারা।

তারিণী।     প্রজারা এসেছে নালিশ করতে।

ক্ষীরো।      আর কি জায়গা ছিল না মরতে!

মালতী।     প্রজার নালিশ শুনবে রাজ্ঞী