কাহিনী

গরিবের মতো নেই ছোটোলোক।

ক্ষীরো।      মালতী!

মালতী।               আজ্ঞে।

ক্ষীরো।                     মল্লিকাটারে

আর তো রাখা না।

মালতী।                         তাড়াব তাহারে।

ছেলেমেয়েদের দয়ার চর্চা

বেড়ে গেলে সাথে বাড়বে খরচা।

ক্ষীরো।      তাড়াবার বেলা হয়ে আনমনা

বালাটা-সুদ্ধ যেন তাড়িয়ো না। —

বাহিরের পথে কে বাজায় বাঁশি

দেখে আয় মোর ছয় ছয় দাসী।

 

তারিণীর প্রস্থান ও পুনঃপ্রবেশ

 

তারিণী।     মধুদত্তর পৌত্রের বিয়ে,

ধুম করে তাই চলে পথ দিয়ে।

ক্ষীরো।      রানীর বাড়ির সামনের পথে

বাজিয়ে যাচ্ছে কী নিয়ম-মতে।

বাঁশির বাজনা রানী কি সইবে!

মাথা ধ'রে যদি থাকত দৈবে?

যদি ঘুমোতেন, কাঁচা ঘুমে জেগে

অসুখ করত যদি রেগেমেগে?

মালতী!

ক্ষীরো।                      নবাবের ঘরে

এমন কান্ড ঘটলে কী করে।

মালতী।     যার বিয়ে যায় তারে ধরে আনে,

দুই বাঁশিওয়ালা তার দুই কানে

কেবলই বাজায় দুটো-দুটো বাঁশি ;

তিন দিন পরে দেয় তারে ফাঁসি।

ক্ষীরো।      ডেকে দাও কোথা আছে সর্দার,

নিয়ে যাক দশ জুতোবর্দার —

ফি লোকের পিঠে দশ ঘা চাবুক

সপাসপ বেগে সজোরে নাবুক।