কাহিনী

কল্যাণী।     একা বটে তুমি! তোমার সাথি

ভাইপো ভাইঝি নাতনী নাতি —

হাট বসে গেছে সোনার চাঁদের,

দুটো করে হাত নেই কি তাঁদের?

তোর কথা শুনে কথা না সরে,

হাসি পায় ফের রাগও ধরে।

ক্ষীরো।      বেশি রেগে যদি কম হাসি পেত

স্বভাব আমার শুধরিয়ে যেত।

কল্যাণী।     ম'লেও যাবে না স্বভাবখানি

নিশ্চয় জেনো।

ক্ষীরো।                   সে কথা মানি।

তাই তো ভরসা মরণ মোরে

নেবে না সহসা সাহস করে।

ওই-যে তোমার দরজা জুড়ে

বসে গেছে যত দেশের কুঁড়ে —

কারো বা স্বামীর জোটে না খাদ্য,

কারো বা বেটার মামীর শ্রাদ্ধ।

মিছে কথা ঝুড়ি ভরিয়া আনে,

নিয়ে যায় ঝুড়ি ভরিয়া দানে।

নিতে চায় নিক, কত যে নিচ্ছে —

চোখে ধুলো দেবে সেটা কি ইচ্ছে?

কল্যাণী।     কেন তুই মিছে মরিস বকে?

ধুলো দেয়, ধুলো লাগে না চোখে।

বুঝি আমি সব — এটাও জানি

তারা যে গরিব, আমি যে রানি।

ফাঁকি দিয়ে তারা ঘোচায় অভাব,

আমি দিই — সেটা আমার স্বভাব।

তাদের সুখ সে তারাই জানে,

আমার সুখ সে আমার প্রাণে।

ক্ষীরো।      নুন খেয়ে গুণ গাহিত কভু,

দিয়ে-থুয়ে সুখ হইত তবু।

সামনে প্রণাম পদারবিন্দে,