পরিত্রাণ

রামচন্দ্র। একেবারে জোর তলব যে।

উদয়। দেরি কোরো না, এসো শিগগির।

রামচন্দ্র। বোনের পেয়াদা হয়ে এসেছ বুঝি, তলব দিতে?

উদয়। আমার কর্তব্য আমি করলুম। যদি না শোন তো থাকো। বিধাতা যাকে মারেন, তাকে কেউ বাঁচাতে

পারে না।

[ প্রস্থান

রামচন্দ্র। আওয়াজটা ঠাট্টার মতো শোনাচ্ছে না। একবার দেখেই আসি গে। ( নটীদের প্রতি) তোমরা গান

থামিয়ো না- এখনও রাত আছে বাকি। আমি এখনই আসছি।

[ প্রস্থান

নটীদের গান

ফুল তুলিতে ভুল করেছি

প্রেমের সাধনে।

বঁধু তোমায় বাঁধব কিসে

মধুর বাঁধনে।

ভোলাব না মায়ার ছলে,

রইব তোমার চরণতলে,

মোহের ছায়া ফেলব না মোর

হাসি-কাঁদনে।

রইল শুধু বেদন-ভরা আশা,

রইল শুধু প্রাণের নীরব ভাষা।

নিরাভরণ যদি থাকি

চোখের কোণে চাইবে না কি,

যদি আঁখি নাই বা ভোলাই

রঙের ধাঁদনে।

প্রথমা নটী। কই, এখনও তো ফিরলেন না।

দ্বিতীয়া নটী। আর তো ভাই পারি নে। ঘুম পেয়ে আসছে।

তৃতীয়া নটী। ফের কি সভা জমবে নাকি!

প্রথমা নটী। কেউ যে জেগে আছে তা তো বোধ হচ্ছে না। এতবড়ো রাজবাড়ি সমস্ত যেন হাঁ হাঁ করছে।

দ্বিতীয়া নটী। চাকররাও সব হঠাৎ কে কোথায় যেন চলে গেল।

তৃতীয়া নটী। বাতিগুলো নিবে আসছে, কেউ জ্বালিয়ে দেবে না?

প্রথমা নটী। আমার কেমন ভয় করছে ভাই।