পরিত্রাণ
চতুর্থ দৃশ্য
নৃত্যসভা
রামচন্দ্র। নটনটীর দল
রামমোহনের প্রবেশ

রামমোহন। একবার উঠে আসুন।

রামচন্দ্র। এখন না, যাঃ, বিরক্ত করিস নে। গান ছেড়ো না।

রামমোহন। শুনতেই হবে।

রামচন্দ্র। কাল সকালে শুনব। দেখ্‌, বিরক্ত করিস নে।

রামমোহন। যুবরাজ ডাকছেন, জরুরি কাজ আছে।

রামচন্দ্র। বুঝেছি, শালা বুঝি ঠাট্টার জবাব দিতে চায়! পারবে না আমার সঙ্গে।

রামমোহন। ঠাট্টা শেষ হয়ে গেছে, এখন বিপদের পালা। শীঘ্র এসো।

রামচন্দ্র। আর ভয় দেখাতে হবে না, এখন আর সময় নেই।

রামমোহন। এ দিকেও সময় একটুও নেই। আচ্ছা, এই দিকে আসুন, বলছি। ( রামচন্দ্রকে জনান্তিকে) প্রতাপাদিত্য মহারাজ সব কথা শুনেছেন।

রামচন্দ্র। না শুনলে মজাটা কী।

রামমোহন। কী বলেন মহারাজ, মজা! তিনি আপনার শ্বশুর, আপনার ঠাট্টার সম্পর্ক তো নন।

রামচন্দ্র। আমার ঠাট্টা চলছে শালাদের নিয়ে। তিনি সেটা যদি গায়ে মাখেন সেটা কি আমার দোষ?

রামমোহন। সে বিচার এখন নয়। আপাতত প্রাণদণ্ডের হুকুম হয়েছে, কাল সকালেই-

রামচন্দ্র। তুমি শুনলে কোথা থেকে?

রামমোহন। যুবরাজের নিজের মুখ থেকে।

রামচন্দ্র। তোর মতো বোকা দুনিয়ায় নেই রে। যুবরাজ ঠাট্টা করেছে বুঝতে পারিস নে! প্রাণদণ্ড!

রামমোহন। দোহাই তোমার, একটুও ঠাট্টা নয়।

রামচন্দ্র। আমাকে ঠাট্টায় ওরা হারাতে পারবে না। তুই এখন যা।

রামমোহন। আচ্ছা, আমি যুবরাজকে ডেকে আনছি।

[ প্রস্থান

রামচন্দ্র। ( নটীদের প্রতি) ধরো গান।-

নটীদের নাচ ও গান

 

আমার   নয়ন তোমার নয়নতলে

মনের কথা খোঁজে।