কালের যাত্রা

পণ্ডিত মানুষ তোমার খুড়ো-জ্যাঠারা,

বলেন ঠিক কথাই।

সর্বনাশ তো তবে।

 

সত্য কথাটি বেরল মুখে —

সর্বনাশ, ঐটের থেকেই সর্বলাভ —

সর্বনেশেই মন কেড়েছে কবির।

বুঝলেম কথাটা।

মিলছে তত্ত্বানন্দস্বামীর সঙ্গে।

শিবমন্ত্র দেন তিনি প্রলয়সাধনায়।

 

শিবমন্ত্র দিই আমিও।

 

অবাক করলে —

তুমি তো জানি কবি,

কবে হলে শৈব।

 

কালিদাস ছিলেন শৈব।

সেই পথের পথিক কবিরা।

 

কেন বল বেঠিক কথা।

তোমরা তো মেতে আছ নাচে গানে।

 

জগৎজোড়া নাচগানেরই পালা আমাদের প্রভুর।

কী বলেন তত্ত্বানন্দস্বামী।

 

প্রলয় ছাড়া কথা নেই তাঁর মুখে।

তত্ত্বানন্দস্বামীর নাচ!

 

শুনলে গম্ভীর গণেশ

বৃংহিতধ্বনি করবেন অট্টহাস্যে।

ত্যাগের দীক্ষা নিয়েছি তাঁর কাছে।