কালের যাত্রা
কবির দীক্ষা

আমি তো ভরতি হয়েছিলেম তোমার দলেই।

 

দৌড় দিলে কেন।

 

ভয়ে।

 

ভয় কিসের।

 

ভবভয়নিবারিণী সভার সভাপতি —

আহা, পরম ধার্মিক —

 

বললেন আমাকে, ওই লক্ষ্মীছাড়াটা —

 

থামলে কেন।

আমি জানি বলেছেন,

লক্ষ্মীছাড়াটা দিচ্ছে তোমাকে রসাতলে।

 

একেবারে ওই শব্দটাই —

রসাতলে।

 

অন্যায় তো বলেননি।

 

বলো কী, কবি!

 

জীবন আমার যাঁর সাধনায় মগ্ন

সেই দেবতা তলিয়ে আছেন অতলে —

 

খুড়ো-জ্যাঠারা বলেছেন সবাই —

তোমার দীক্ষায় না আছে অর্থের আশা,

না আছে পরমার্থের।