নবীন

ওরে গৃহবাসী, তোরা খোল্‌ দ্বার খোল্‌,

লাগল-যে দোল।

স্থলে জলে বনতলে

লাগল-যে দোল।

খোল্‌ দ্বার খোল্‌।

 

রাঙা হাসি রাশি রাশি অশোকে পলাশে,

রাঙা নেশা মেঘে মেশা প্রভাত-আকাশে,

নবীন পাতায় লাগে রাঙা হিল্লোল।

খোল্‌ দ্বার খোল্‌।

 

বেণুবন মর্মরে দখিনবাতাসে,

প্রজাপতি দোলে ঘাসে ঘাসে —

মউমাছি ফিরে যাচি ফুলের দখিনা,

পাখায় বাজায় তার ভিখারীর বীণা,

মাধবীবিতানে বায়ু গন্ধে বিভোল।

খোল্‌ দ্বার খোল্‌॥

 

 

আমি    সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়,

আমি    তার লাগি পথ চেয়ে আছি পথে যে জন ভাসায়।

যে জন    দেয় না দেখা, যায় যে দেখে,

ভালোবাসে আড়াল থেকে,

আমার    মন মজেছে সেই গভীরের

গোপন ভালোবাসায়॥

 

সর্বনাশের ব্রত যাদের তাদের ভয় ভাঙিয়ে দাও। কারও কারও যে দ্বিধা ঘোচে না। ঐ দেখো-না পাতার আড়ালে মাধবী। ঐ অবগুণ্ঠিতাদের সাহস দাও। শুনছ না বকুলগুলো ঝরতে ঝরতে বলছে ‘যা হয় তা হোক গে ', আমের মুকুল বলে উঠছে ‘কিছু হাতে রাখব না '। যারা কৃপণতা করবে তাদের সময় বয়ে যাবে।

 

হে মাধবী, দ্বিধা কেন — আসিবে কি ফিরিবে কি —

আঙিনাতে বাহিরিতে মন কেন গেল ঠেকি।