নটরাজ

“ কোথায় গো, অন্নপূর্ণা, ক্ষুধার্তেরে অন্ন দিবে না কি?

শান্ত করো প্রাণের ক্রন্দন, চাও প্রসন্ন নয়ানে

ধরার ভাণ্ডার পানে। ” শুনিয়া লুকায়ে হাস্যখানি,

লুকায়ে দক্ষিণ হস্ত দক্ষিণা দিয়েছ তুমি আনি,

ভূমিগর্ভে আপনার দাক্ষিণ্য ঢাকিলে সাবধানে।

 

স্বর্গলোক ম্লান করি প্রকাশিলে ধরার বৈভব

কোন্‌ মায়ামন্ত্রগুণে, দরিদ্রের বাড়ালে গৌরব।

অমরার স্বর্ণ নামে ধরণীর সোনার অঘ্রানে।

তোমার অমৃত-নৃত্য, তোমার অমৃতস্নিগ্ধ হাসি

কখন ধূলির ঘরে সঞ্চিত করিলে রাশি রাশি,

আপনার দৈন্যচ্ছলে পূর্ণ হলে আপনার দানে।


দীপালি
গান

হিমের রাতে ঐ গগনের

দীপগুলিরে

হেমন্তিকা করল গোপন

আঁচল ঘিরে।

ঘরে ঘরে ডাক পাঠাল —

“ দীপালিকায় জ্বালাও আলো,

জ্বালাও আলো, আপন আলো,

সাজাও আলোয় ধরিত্রীরে। ”

শূন্য এখন ফুলের বাগান,

দোয়েল কোকিল গাহে না গান,

কাশ ঝরে যায় নদীর তীরে।

যাক্‌ অবসাদ বিষাদ কালো

দীপালিকায় জ্বালাও আলো,

জ্বালাও আলো, আপন আলো,

শুনাও আলোর জয়বাণীরে।

দেবতারা আজ আছে চেয়ে