মুক্তধারা

ভৈরবপন্থীর প্রবেশ

গান
তিমিরহৃদ্‌বিদারণ
জ্বলদগ্নিনিদারুণ,
            মরুশ্মশানসঞ্চর,
            শংকর শংকর।
বজ্রঘোষবাণী
রুদ্র শূলপাণি
            মৃত্যুসিন্ধুসন্তর,
            শংকর শংকর।

[ প্রস্থান

কুন্দন। ঐ দেখো চেয়ে। গোধূলির আলো যতই নিবে আসছে আমাদের যন্ত্রের চূড়াটা ততই কালো হয়ে উঠছে।

১। দিনের বেলায় ও সুর্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এসেছে, অন্ধকারে ও রাত্রিবেলাকার কালোর সঙ্গে টক্কর দিতে লেগেছে। ওকে ভূতের মতো দেখাচ্ছে।

কুন্দন। বিভূতি তার কীর্তিটাকে এমন করে গড়ল কেন ভাই? উত্তরকূটের যে দিকেই ফিরি ওর দিকে না তাকিয়ে থাকবার জো নেই, ও যেন একটা বিকট চীৎকারের মতো।

চতুর্থ নাগরিকের প্রবেশ

৪। খবর পাওয়া গেল—ঐ আমবাগানের পিছনে রাজার শিবির পড়েছে, সেখানে যুবরাজকে রেখে দিয়েছে।

২। এতক্ষণে বোঝা গেল। তাই বটে বৈরাগী এই পথেই ঘুরছে। ও থাক্‌ এইখানেই বাঁধা পড়ে। ততক্ষণ দেখে আসি।

[ নাগরিকদের প্রস্থান

ধনঞ্জয়।

গান
শুধু কি       তার বেঁধেই তোর কাজ ফুরাবে,
               গুণী মোর, ও গুণী?
বাঁধাবীণা রইবে পড়ে এমনি ভাবে,
               গুণী মোর, ও গুণী?
তা হলে       হার হল যে হার হল,         
শুধু         বাঁধাবাঁধিই সার হল             
               গুণী মোর, ও গুণী!
বাঁধনে        যদি তোমার হাত লাগে,      
     তা হলেই সুর জাগে