নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা

বাতাসে যায় ভাসি।

সহসা মনে জাগে আশা,

মোর     আহুতি পেয়েছে অগ্নির ভাষা।

আজ মম রূপে বেশে

লিপি লিখি কার উদ্দেশে,

এল     মর্মের বন্দিনী বাণী বন্ধন নাশি।

মীনকেতু,

কোন্‌ মহা রাক্ষসীরে দিয়েছ বাঁধিয়া

অঙ্গসহচরী করি।

এ মায়ালাবণ্য মোর কী অভিসম্পাত!

ক্ষণিক যৌবনবন্যা

রক্তস্রোতে তরঙ্গিয়া

উন্মাদ করেছে মোরে।

নূতন কান্তির উত্তেজনায় নৃত্য

স্বপ্নমদির নেশায় মেশা এ উন্মত্ততা,

জাগায় দেহে মনে এ কী বিপুল ব্যথা।

বহে মম শিরে শিরে

এ কী দাহ, কী প্রবাহ —

চকিতে সর্বদেহে ছুটে তড়িৎ লতা।

ঝড়ের পবনগর্জে হারাই আপনায়,

দুরন্ত যৌবনক্ষুব্ধ অশান্ত বন্যায়।

তরঙ্গ উঠে প্রাণে

দিগন্তে কাহার পানে,

ইঙ্গিতের ভাষায় কাঁদে —

নাহি নাহি কথা॥

[প্রস্থান

এরে ক্ষমা কোরো সখা,

এ যে এল তব আঁখি ভুলাতে,

শুধু ক্ষণকালতরে মোহ-দোলায় দুলাতে,