Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (http://rabindra-rachanabali.nltr.org)
নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা- ৩, ১৪
নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা
বাতাসে যায় ভাসি।
সহসা মনে জাগে আশা,
মোর আহুতি পেয়েছে অগ্নির ভাষা।
আজ মম রূপে বেশে
লিপি লিখি কার উদ্দেশে,
এল মর্মের বন্দিনী বাণী বন্ধন নাশি।
—
মীনকেতু,
কোন্ মহা রাক্ষসীরে দিয়েছ বাঁধিয়া
অঙ্গসহচরী করি।
এ মায়ালাবণ্য মোর কী অভিসম্পাত!
ক্ষণিক যৌবনবন্যা
রক্তস্রোতে তরঙ্গিয়া
উন্মাদ করেছে মোরে।
নূতন কান্তির উত্তেজনায় নৃত্য
স্বপ্নমদির নেশায় মেশা এ উন্মত্ততা,
জাগায় দেহে মনে এ কী বিপুল ব্যথা।
বহে মম শিরে শিরে
এ কী দাহ, কী প্রবাহ —
চকিতে সর্বদেহে ছুটে তড়িৎ লতা।
ঝড়ের পবনগর্জে হারাই আপনায়,
দুরন্ত যৌবনক্ষুব্ধ অশান্ত বন্যায়।
তরঙ্গ উঠে প্রাণে
দিগন্তে কাহার পানে,
ইঙ্গিতের ভাষায় কাঁদে —
নাহি নাহি কথা॥
[প্রস্থান
এরে ক্ষমা কোরো সখা,
এ যে এল তব আঁখি ভুলাতে,
শুধু ক্ষণকালতরে মোহ-দোলায় দুলাতে,