যোগাযোগ

মধুসূদন। পছন্দ হল না? ভাবছ কম দাম! তুমি এর দাম কী বুঝবে? ওঠো বলছি, এখনি ওঠো!

 

[ শ্যামাসুন্দরী উঠে, ছুটে ঘর থেকে বেরিয়ে চলে গেল

 

মধুসূদন। এ কিছুতেই চলবে না। কেদার।

ভৃত্যের প্রবেশ

 

তোর শ্যামাদিদিকে শিগ্‌গির ডেকে দে!

[ ভৃত্যের প্রস্থান

মধুসূদন খানিকক্ষণ খবরের কাগজ নিয়ে পড়লে। টেবিলে রুপোর ফুলদানিটা রুমাল দিয়ে ঘষে

দেখলে ময়লা আছে কি না। ঝরা ফুলের পাপড়িগুলো টেবিলের উপর থেকে ঝেড়ে ফেললে।

সোফার উপর কুশনগুলো গুছিয়ে ফেললে। হঠাৎ চোখে পড়ল ফোটোগ্রাফটা নেই।

 

মধুসূদন। কেদার!

 

ভৃত্যের প্রবেশ

 

কেদার। মহারাজ!

মধুসূদন। এখানে মহারানীর ছবি ছিল, কী হল?

কেদার। তাই তো, দেখছি নে।

মধুসূদন। ডেকে আন্‌ তোর শ্যামাদিদিকে।

কেদার। তাঁর মাথা ধরেছে।

মধুসূদন। ধরুক মাথা। আস্পর্ধা তো কম নয়, হুকুম করলে আসে না। নিয়ে আয় তাকে।

[ ভৃত্যের প্রবেশ

 

শ্যামাসুন্দরী এসে দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে রইল

গর্জন করে

 

মধুসূদন। এসো বলছি, শিগ্‌গির চলে এসো। ন্যাকামি কোরো না।

 

শ্যামাসুন্দরীর প্রবেশ