প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
চমকে উঠে
কুমুদিনী। না, থাক্।
মধুসূদন। তোমার ভাব দেখে ভয় হয়েছিল, কেবল আমার উপরে কেন, কোনো কিছুতেই তোমার আসক্তি নেই। এখন দেখছি আংটির উপরেও বেশ লোভ আছে। তা, ভয় কিসের, আর একটা আংটি তোমাকে পরিয়ে দিচ্ছি, এর চেয়ে অনেক ভালো, অনেক দামি।
নিজের হাত থেকে মস্ত বড়ো কমলহীরের আংটি খুলে নিয়ে কুমুকে পরাবার চেষ্টা
করলে। এবার কুমু জোর করে হাত ছাড়িয়ে নিলে। কড়া সুরে
মধুসূদন। দেখো, এ আংটি তোমাকে খুলতেই হবে।
কুমু নীরব
শুনছ? আমি বলছি, ওটা খুলে ফেলা ভালো। দাও আমাকে।
হাত টেনে নিতে উদ্যত। হাত সরিয়ে
কুমুদিনী। আমি খুলছি।
খুলে ফেললে
মধুসূদন। দাও ওটা আমাকে।
কুমুদিনী। ওটা আমিই রেখে দেব।
বিরক্তির স্বরে
মধুসূদন। রেখে লাভ কী? মনে ভাবছ এটা ভারি একটা দামি জিনিস। এ-সব জিনিস চেন? এ কিছুতেই তোমার পরা চলবে না, এই আমি বলে রাখছি।
কুমুদিনী। আমি পরব না।
পুঁতির কাজ করা থলের মধ্যে আংটি রেখে দিলে
মধুসূদন। ( উত্তেজিত) কেন? এই তুচ্ছ জিনিসটার 'পরে এত দরদ কেন? তোমার তো জেদ কম নয়।