প্রকৃতির প্রতিশোধ
চারি দিকে দেখা যায় দিনের আলোক,
চোখেতে ঠেকিছে যেন সৃষ্টির পঞ্জর।
আলোক তো কারাগার, নিষ্ঠুর কঠিন
বস্তু দিয়ে ঘিরে রাখে দৃষ্টির প্রসর।
পদে পদে বাধা খেয়ে মন ফিরে আসে,
কোথায় দাঁড়াবে গিয়া ভাবিয়া না পায়।
অন্ধকার স্বাধীনতা, শান্তি অন্ধকার,
অন্ধকার মানসের বিচরণভূমি,
অনন্তের প্রতিরূপ, বিশ্রামের ঠাঁই।
এক মুষ্টি অন্ধকারে সৃষ্টি ঢেকে ফেলে,
জগতের আদি অন্ত লুপ্ত হয়ে যায়,
স্বাধীন অনন্ত প্রাণ নিমেষের মাঝে
বিশ্বের বাহিরে গিয়ে ফেলে রে নিশ্বাস।


পথ দিয়ে চলিতেছে এরা সব কারা!
এদের চিনি নে আমি, বুঝিতে পারি নে
কেন এরা করিতেছে এত কোলাহল।
কী চায়? কিসের লাগি এত ব্যস্ত এরা?
এক কালে বিশ্ব যেন ছিল রে বৃহৎ,
তখন মানুষ ছিল মানুষের মতো,
আজ যেন এরা সব ছোটো হয়ে গেছে।
দেখি হেথা বসে বসে সংসারের খেলা।


কৃষকগণের প্রবেশ
গান
          হেদে গো নন্দরানী,
আমাদের  শ্যামকে ছেড়ে দাও।
আমরা   রাখাল-বালক দাঁড়িয়ে দ্বারে,
আমাদের  শ্যামকে দিয়ে যাও।
হেরো গো    প্রভাত হল সুয্যি উঠে
          ফুল ফুটেছে বনে—
আমরা    শ্যামকে নিয়ে গোষ্ঠে যাব