বন-ফুল
বিসমৃতি! তোমার ছায়ে রেখো না
বিজয়ে;
শুকালেও হৃদিরক্ত এ রক্ত যেমন
চিরকাল লিপ্ত থাকে পাষাণ হৃদয়ে!
বিষাদ! বিলাসে তার মাখি হলাহল
ধরিও সমুখে তার নরকের বিষ!
শান্তির কুটীরে তার জ্বালায়ো অনল!
বিষবৃক্ষবীজ তার হৃদয়ে রোপিস্!
দূর হ— দূর হ তোরা ভূষণ রতন!
আজিকে কমলা যে রে হোয়েছে বিধবা!
আবার কবরি! তোরে করিনু মোচন!
আজিকে কমলা যে রে হোয়েছে বিধবা!
কি বলিস্ যমুনা লো! কমলা বিধবা!
জাহ্নবীরে বল্ গিয়ে ‘কমলা
বিধবা’!
পাখী! কি করিস্ গান ‘কমলা বিধবা!
দেশে দেশে বল্ গিয়ে ‘কমলা
বিধবা!
আয়! শুক ফিরে যা লো বিজন শিখরে,
মৃগদের বল্ গিয়া উঁচু করি গলা—
কুটীরকে বল্ গিয়ে, তটিনী,নির্ঝরে—
‘বিধবা হয়েছে সেই বালিকা কমলা!’
উহুহু! উহুহু— আর সহিব কেমনে?
হৃদয়ে জ্বলিছে কত অগ্নিরাশি
মিলি।
বেশ ছিনু বনবালা, বেশ ছিনু বনে!—
নীরজা বলিয়া গেছে ‘জ্বালালি!
জ্বলিলি!’