দ্বিতীয় ভাগ

সেদিন ভোরে দেখি উঠে

বৃষ্টি বাদল গেছে ছুটে,

রোদ উঠেছে ঝিল‍্‌মিলিয়ে

বাঁশের ডালে ডালে,

ছুটির দিনে কেমন সুরে

পূজোর সানাই বাজায় দূরে,

তিনটে শালিখ ঝগড়া করে

রান্নাঘরের চালে।

শীতের বেলায় দুই পহরে

দূরে কাদের ছাদের ‘পরে

ছোট্ট মেয়ে রোদ্‌দুরে দেয়

বেগনি রঙের শাড়ি,

চেয়ে চেয়ে চুপ ক’রে রই—

তেপান্তরের পার বুঝি ওই,

মনে ভাবি ঐখানেতেই

আছে রাজার বাড়ি।

থাকতো যদি মেঘে-ওড়া

পক্ষিরাজের বাচ্ছা ঘোড়া

তক্ষনি-যে যেতেম তারে

লাগাম দিয়ে ক’ষে,

যেতে যেতে নদীর তীরে

ব্যঙ্গমা আর ব্যাঙ্গমীরে

পথ শুধিয়ে নিতেম আমি

গাছের তলায় ব’সে।


দশম পাঠ

এত রাত্রে দরজায় ধাক্কা দিচ্চে কে? কেউ না, বাতাস ধাক্কা দিচ্চে। এখন অনেক রাত্রি। উল্লাসপাড়ার মাঠে শেয়াল ডাকছে- হুক্কাহুয়া। রাস্তায় ও কি এক্কাগাড়ির শব্দ? না, মেঘ গুর‍্গুর্ করছে। উল্লাস, তুমি যাও তো, কুকুরের বাচ্ছাটা বড়ো চেঁচাচ্ছে, ঘুমতে দিচ্ছে না। ওকে শান্ত ক’রে এসো। ওটা কিসের ডাক উল্লাস? অশত্থ গাছে পেঁচার ডাক। উচ্ছের ক্ষেত থেকে ঝিল্লি ঐ ঝিঁ ঝিঁ করছে। দরজার পাল্লাটা বাতাসে ধড়াস্‌ ধড়াস্‌ ক’রে পড়ছে! বন্ধ করে দাও। ওটা কি কান্নার শব্দ? না, রান্নাঘর থেকে বিড়াল