শেষ সপ্তক

                   সেই বালক না আছে আপন স্বরূপে

                         না আছে কারো স্মৃতিতে।

                         সে গেছে চলে তার ছোটো সংসারটাকে নিয়ে ;

                         তার সেদিনকার কান্নাহাসির

                                প্রতিধ্বনি আসে না কোনো হাওয়ায়।

                         তার ভাঙা খেলনার টুকরোগুলোও

                                              দেখি নে ধুলোর'পরে।

 

 

                   সেদিন জীবনের ছোটো গবাক্ষের কাছে

                         সে বসে থাকত বাইরের দিকে চেয়ে।

                তার বিশ্ব ছিল

                সেইটুকু ফাঁকের বেষ্টনীর মধ্যে।

    তার অবোধ চোখ - মেলে চাওয়া

         ঠেকে যেত বাগানের পাঁচিলটাতে

                সারি সারি নারকেল গাছে।

                     সন্ধ্যেবেলাটা রূপকথার রসে নিবিড়,

                 বিশ্বাস - অবিশ্বাসের মাঝখানে

                            বেড়া ছিল না উঁচু,

         মনটা এদিক থেকে ওদিকে

                            ডিঙিয়ে যেত অনায়াসেই।

    প্রদোষের আলো - আঁধারে

         বস্তুর সঙ্গে ছায়াগুলো ছিল জড়িয়ে,

                দুইই ছিল একগোত্রের।

 

 

    সে - কয়দিনের জন্মদিন

         একটা দ্বীপ,

                কিছুকাল ছিল আলোতে,

                    কাল - সমুদ্রের তলায় গেছে ডুবে।

                ভাঁটার সময় কখনো কখনো

                    দেখা যায় তার পাহাড়ের চূড়া,